Sunday, 29 April 2018

শশার উপকারিতা


* শশা আমাদের দেহের পানির অভাব পূরণ করে থাকে। কারণ,
শশার খাদ্য উপাদানের মধ্যে ৯০ ভাগই হচ্ছে পানি। আমরা যদি
দৈনিক চাহিদার সমপরিমাণ পানি পান করতে না পারি তাহলে
শশা খেয়ে পানির সেই অভাব পূরণ করা সম্ভব।

* শশা আমাদের শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। বাইরে
রোদে ঘুরা-ফেরা করার কারণে সূর্যের তাপে শরীরের চামড়ায় যে
নেতিবাচক প্রভাব পড়ে তা থেকে শশা আমাদের অনেকটাই
স্বস্তি দিতে পারে। এজন্য শশা চাক চাক করে কেটে শরীরের
রোদে পোড়া অংশে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।

* শশার ভেতরের জলীয় অংশ শরীরের অপ্রয়োজনীয় বর্জ্য
শরীর থেকে বের করে দিতে সক্ষম। নিয়মিত শশা খেলে কিডনিতে
পাথর হওয়া থেকে মুক্ত থাকা যায়।

* সুস্থ থাকার জন্য আমাদের শরীরে প্রতিদিন যে পরিমাণ
ভিটামিন দরকার হয় তার অধিকাংশের অভাব পূরণ করে থাকে
শশা। ভিটামিন এ, বি ও সি–যেগুলো শরীরে শক্তি উৎপাদন ও
শরীরের স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাকে সক্রিয় রাখে, তার অধিকাংশই
পূরণ করে থাকে শশা।

* শশায় রয়েছে স্টেরল নামের এক ধরনের উপাদান যা
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। স্টেরল মুটিয়ে
যাওয়া রোধ করতেও সাহায্য করে।

* শশায় রয়েছে উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও
সলিকন। তাই শরীরে এসবের অভাবজনিত সমস্যার মূল সমাধান
হলো শশা।

* শশায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পানি এবং অত্যন্ত কম
পরিমাণে ক্যালরি। তাই আমার যারা শরীরের ওজন কমানোর
বিষয়ে সচেতন তাদের জন্য শশা একটি প্রধান উপাদান।

* শশা গোল বা চাকা করে কেটে চোখের উপর দিয়ে চোখের
সৌন্দর্য বৃদ্ধির প্রয়াস চালাতে আমরা অনেককেই দেখি। কিন্তু
এটা সত্যি যে অনিদ্রা, দুশ্চিন্তা বা অন্য কোন কারণে চোখের
নিচে কালো দাগ পড়লে শশা তা দূর করতে পারে।

* শশা কয়েক ধরনের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে শক্তিশালী
প্রতিরোধ হিসেবে কাজ করে থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য
হচ্ছে ওভারিওর ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সার, প্রোস্টেট
ক্যান্সার ও ইউটারিন ক্যান্সার।

* শশার রস ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে থাকে। গবেষণায় দেখা
গেছে যে, শশায় থাকা স্টেরল নামক উপাদান রক্তের
কলেস্টরালের আধিক্য কমাতে ভূমিকা রাখে। তাছাড়া শশায়
রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। এই
উপাদানগুলো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে
সক্ষম। এ কারণে শশা উচ্চ রক্তচাপ এবং নিম্ন রক্তচাপ–
দুটোকেই নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। ভিটামিন সি, সিলিকা,
পটাশিয়াম, ম্যাগনোশিয়াম ও ফাইবার হাই ব্লাড প্রেসার
নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে শশা।

* শশা মুখের ভিতরের জীবাণুকে ধ্বংস করে মুখকে সজীব
রাখতে সাহায্য করে। এক টুকরো শশা মুখের ভিতর পুড়ে জিহবা
দিয়ে মুখের ভিতরের অংশে ঘষলে দাঁত ও অন্যান্য স্থানে লেগে
থাকা জীবাণুরা মরে যায়। ফলে নিঃশ্বাস সজীব ও প্রাণবন্ত
হয়ে উঠতে বাধ্য।

* শশায় আছে সালফার ও সিলিকা নামের দুটি উপাদান, যা
আমাদের মাথার চুল ও নখকে উজ্জল ও শক্ত করে তোলে।
এগুলো চুলের বৃদ্ধিকেও তরান্বিত করে।

* বৃক্ক(কিডনি), ইউরিনারি ব্লাডার, লিভার ও
প্যানক্রিয়াসের সমস্যায় ডায়েটে শশা রাখতে পারেন।

Click Hera :শশা

No comments:

Post a Comment

হেঁচকি উঠলে যা করবেন

ছোটবেলায় হেঁচকি উঠলে বড়রা বলতেন কেউ মনে মনে তোমার কথা ভাবছে। হেঁচকি উঠলেই এক গ্লাস পানি খেয়ে নিতে বলা হয়। কখনো হঠাৎ চমকে দেবার চেষ্...