Monday 16 July 2018

হেঁচকি উঠলে যা করবেন


ছোটবেলায় হেঁচকি উঠলে বড়রা বলতেন কেউ মনে মনে তোমার কথা ভাবছে। হেঁচকি উঠলেই এক গ্লাস পানি খেয়ে নিতে বলা হয়। কখনো হঠাৎ চমকে দেবার চেষ্টা করা হয়। সাধারণত এভাবেই হেঁচকি কমানোর চেষ্টা করে থাকি আমরা। তবে কিছু কিছু সময় আসে যখন হেঁচকি উঠলে লজ্জিত বা বিব্রতবর অবস্থায় পড়ে যেতে হয়। যেমন: অফিসে জরুরি মিটিং চলাকালীন সময়ে, কোনো অনুষ্ঠানে খাওয়ার টেবিলে ইত্যাদি। এরকম অবস্থায় হেঁচলি উঠলে স্বস্তি পেতে যা করবেন:
- গ্লাসে পানি নিন। দু’হাতের আঙুল দিয়ে কান বন্ধ করে স্ট্র দিয়ে ধীরে ধীরে পানি পান করুন। দেখবেন হেঁচকি কমে আসছে।
- বোতল থেকে পানি খাবেন না। গ্লাসে পানি নিয়ে পরপর ১০ বার ছোট ছোট চুমুক দিন। এভাবে তালে তালে পানি খেলে হেঁচকি কমে যাবে।
- মুখে হাত চাপা দিন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন। এতে ফুসফুসে কার্বন-ডাই অক্সাইডের মাত্রা বাড়বে। হেঁচকি কমে যাবে।
- দু’হাতের আঙুল দিয়ে কান বন্ধ করে রাখুন। এতে স্নায়ুতন্ত্রে রিলাক্স করার সংকেত পৌঁছবে। ফলে মধ্যচ্ছদা প্রসারিত হবে। ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড এভাবে কান বন্ধ করে রাখুন। হেঁচকি কমে আসবে।
- বুক ভরে শ্বাস নিন। কিছু ক্ষণ শ্বাস ধরে রাখুন। এতেও শরীরে কার্বন-ডাই অক্সাইডের মাত্রা বাড়বে। মধ্যচ্ছদা প্রসারিত হয়ে হেঁচকি কমে যাবে।
- কয়েক মিনিট জিভ বের করে রাখুন। এতে গ্লটিসের মুখ বড় হবে। শ্বাস-প্রশ্বাস চালাতেও সুবিধা হবে, হেঁচকিও কমে যাবে।

ওজন কমাতে বেছে নিবেন যে খাবারগুলো!

ওজন কমাতে বেছে নিবেন যে খাবারগুলো!
অতিরিক্ত ওজনের কারণে চিন্তা, নিয়মিত জিমে যাওয়ারও সুযোগ পান না, এমন পরিস্থিতিতে থাকা স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তির নিয়মিত হাঁটাহাঁটি তো করতেই হবে, সেই সঙ্গে প্রতিদিনের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে নির্দিষ্ট কিছু খাবার।
 যা শরীরের মেদ তো ঝরাবেই, সেই সঙ্গে কমাবে শরীরের ওজন:

১. সবজির রস: আদা, গাজর অথবা করল্লার রস প্রতিদিন খালি পেটে খাওয়া শুরু করলে ওজন কমতে একেবারেই সময় লাগে না। কারণ এই সবজিগুলির ভিতরে থাকা একাধিক উপকারি উপাদান হজম ক্ষমতার উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটলে শরীরে মেদ জমার সম্ভাবনা একেবারে কমে যায়।

২. আপেল: অতিরিক্ত ওজনের কারণে কি চিন্তায় রয়েছেন? তাহলে নিয়মিত একটা করে আপেল খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন দারুন উপকার মিলবে। কারণ এই ফলটিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার। তাই তো খালি পেটে একটা করে আপেল খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। ফলে বারে বারে খাওয়ার প্রবণতা কমে। আর কম পরিমাণে খাবার খাওয়ার কারণে ওজনও কমে দ্রুত।

৩. বাঁধাকোপি: দ্রুত ওজন যদি কমাতে হয়, তাহলে প্রতিদিনের ডায়েটে বাঁধাকোপিকে রাখতে ভুলবেন না। এই সবজিটি খাওয়া শুরু করলে শরীরের ভিতরে ফাইবারের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে বহুক্ষণ পেট ভরা থাকে। ফলে বারে বারে খাবার খাওয়ার প্রবণতা একেবারে কমে যায়। আর কম খেলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না।

৪. গোলমরিচ: একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত যে ওজন কমাতে বাস্তবিকই গোলমরিচের কোনও বিকল্প হয় না। প্রতিদিন লেবুর রসে অল্প পরিমাণ গোলমরিচ মিশিয়ে খাওয়া শুরু করলে শরীরের চর্বি গলতে থাকে। ফলে অতিরিক্ত ওজন কমে যেতে সময় লাগে না। তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখবেন, তা হল ভুলেও গোলমরিচ মেশানো কোনও পানীয় সকালে খালি পেটে খেতে যাবেন না ।

৫. মধুর সঙ্গে লেবু: চটজলদি রোগা হওয়ার সবথেকে সহজ এবং কার্যকরী ঘরোয়া পদ্ধতি কী যদি প্রশ্ন করেন, তাহলে মধু এবং লেবুকে বাদ দিয়ে কোনও কিছু ভাবা বাস্তবিকই সম্ভব নয়। আসলে মধু এবং লেবুর ভিতরে উপস্থিতি একাধিক উপকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেলা দেখায় যে একদিকে দেহের ভিতরে উপস্থিত টক্সিক উপাদানেরা বেরিয়ে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে খিদেও কমে। ফলে ওজন হ্রাস পেতে সময় লাগে না। এক্ষেত্রে এক গ্লাস গরম পানির সঙ্গে পরিমাণ মতো লেবুর রস এবং এক চামচ মধু মিশিয়ে পানীয়টি প্রতিদিন খালি পেটে খাওয়া শুরু করতে হবে। তাতেই ওজন কমতে থাকবে।

৬. বিটরুট: নিয়মিত বিটরুট খাওয়া শুরু করলে শরীরের ভিতরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পায় যে তার প্রভাবে একদিকে যেমন ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে, তেমনি ক্যান্সারের মতো মরণ রোগও ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। শুধু তাই নয়, শরীরকে বিষ মুক্ত করতেও এই সবজিটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৭. ওটস মিল: এক চামচ ওটস মিলের সঙ্গে তিন চামচ পানি, এই রেশিয়োতে বানিয়ে নিয়মিত সকালবেলা খালি পেটে খাওয়া শুরু করলে ওজন কমতে একেবারেই সময় লাগে না। কারণ এই খাবারটিতেও রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, যা হজম ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। ফলে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না, বরং কমতে শুরু করে। ওটস মিলে লেসিথিন নামক একটি উপাদান থাকে, যা এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৮. বাদাম: বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে এই প্রকৃতিক উপাদানে উপস্থিত ফাইবার, উপকারি ফ্যাট এবং ওমাগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড একদিকে যেমন খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়, তেমনি ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকেও ত্বরান্বিত করে। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না।

৯. পেঁপে: এই ফলটির ভিতরে রয়েছে পেপেইন নামক একটি উপাদান, যা ফ্যাট গলিয়ে মেদ ঝরাতে যেমন সাহায্য করে, তেমনি শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান এবং অতিরিক্ত পানিকে বের করে দিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে খালি পেটে যদি অল্প করে পেঁপে খাওয়া যায়, তাহলে আরও দ্রুত ওজন হ্রাস পেতে শুরু করে। কারণ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা থাকে। ফলে শরীরে ক্যালরির প্রবেশ কমতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা হ্রাস পায়।

১০. ব্রকলি: জর্জিয়া স্টেট ইউনির্ভাসিটির গবেষকদের করা এক স্টাডিতে দেখা গেছে ব্রকলির মতো ডায়াটারি ফাইবার সমৃদ্ধ সবজি বেশি করে খেলে ওজন কমতে একেবারেই সময় লাগে না। কারণ এই উপাদানটি শরীরে উপকারি ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যাকে বাড়িয়ে তোলে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হজম ক্ষমতা এতটা বৃদ্ধি পায় যে শরীরে মেদ জমার সুযোগই পায় না। রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, হাই কোলেস্টেরল এবং হার্টের রোগের মতো সমস্যাকে দূরে রাখতেও ফাইবার বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

Sunday 20 May 2018

বর্ষাকালে সুস্থ থাকার উপায়!

বর্ষাকালে সুস্থ থাকার উপায়!

সুস্থ থাকার গুরুত্ব যে কতখানি, তা কেবল অসুস্থ হলেই টের পাওয়া যায়। শরীর সুস্থ না থাকলে মনও ভালো থাকবে না। তাই শরীর ও মনের সুস্থতার জন্য সচেষ্ট হতে হবে আপনাকেই। আর তার জন্য বাড়তি কিছু করার দরকার নেই। প্রতিদিনের কাজগুলো একটু নিয়ম মেনে করলেই আপনার সুস্থ থাকা ঠেকায় কে! যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বা অ্যাজমার সমস্যা রয়েছে তারা সহজেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। হঠাৎ তাপমাত্রার পরিবর্তন, আদ্রতার ওঠানামার কারণে ত্বকও তার ঔজ্জ্বল্য হারায়, চুল রুক্ষ হয়ে পড়ে। এই সময় তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে একটু বেশি যত্ন নিতেই হবে। খাওয়া-দাওয়ার দিকে যেমন খেয়াল রাখতে হবে, তেমনই যত্ন নিতে হবে শরীরেরও

পুরোপুরি বর্ষা আসতে এখনও বেশ কয়েকটা দিন বাকি রয়েছে। বৃষ্টি স্রষ্টার দেওয়া সুন্দর জিনিসগুলোর মধ্যে একটি। এই ঋতুতে আমাদের সুস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য ভীষণ সতর্ক থাকতে হবে। এই সময়টাতে নানা রকমের রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায়। তাই স্বাস্থ্য এবং খাদ্যাভাসে অতিরিক্ত যত্ন ও মনোযোগ দিতে হয় এই সময়টায়। বর্ষাকাল মনোরম হলেও, এই সময়ে বিভিন্ন অসুখ দেখা যায়। ইনফেকশন, অ্যালার্জ, বদহজম, এছাড়া আরও বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা মানুষ এই সময়ে ভোগেন। তাহলে জেনে নিন কীভাবে বর্ষাকালে অসুখের হাত থেকে রক্ষা পাবেন আর কীভাবে সুস্থ থাকবেন-

১) ফ্রেস খাবার খান। বাড়িতে তৈরি গরম, স্বাস্থ্যকর খাবার খান। বাইরের খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। 

২) তরল খাবার খান। পানি ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে খান। 

৩) এই সময়ে ভাজাপোড়া যতটা সম্ভব কম খান। নাহলে হজমের গোলমাল দেখা দিতে পারে। 

৪) পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন। ঘর-বাড়ি বিশেষ করে বাথরুম সবসময় পরিচ্ছন্ন রাখুন। এবং খাওয়ার আগে ও পরে ভালো করে হাত মুখ ধোবেন।

Tuesday 15 May 2018

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে করণীয়


বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনা আমাদের দেশে প্রায়ই ঘটে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার কারণে বিদ্যুৎ প্রবাহ শরীরের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করে স্নায়ুতন্ত্র ও শ্বসনতন্ত্রে আঘাত করে প্রচণ্ডভাবে। এতে কিছুক্ষণের মধ্যে রোগী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। শরীরের টিস্যুগুলোর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহের কারণে গভীর দাহ সৃষ্টি হয়।
যিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হচ্ছেন, তাঁর গায়ে যদি ভেজা কাপড় থাকে কিংবা তাঁর শরীর ভেজা থাকে, তাহলে বিদ্যুতের আঘাত তীব্রতর হয়। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যক্তির হৃদযন্ত্র, শ্বাসতন্ত্র ও মস্তিষ্কের প্রাথমিক অসারতার কারণে মৃত্যু ঘটে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট থাকাকালে ওই ব্যক্তিকে অন্য কেউ স্পর্শ করলে তাঁরও একই পরিণতি হবে।
সুতরাং কেউ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়লে কী করণীয়?
  • বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যক্তি যদি তখনো বিদ্যুতের আওতাধীন থাকে, অর্থাৎ তাঁর শরীরে কিংবা হাতে-পায়ে বিদ্যুতের তার জড়ানো থাকে, তাহলে প্রথমেই মেইন সুইচ বন্ধ করে দিতে হবে কিংবা সকেট থেকে প্লাগ সরিয়ে ফেলতে হবে।
  • মেইন সুইচ বন্ধ করা বা সকেট থেকে প্লাগ সরানো সম্ভব না হলে বিদ্যুৎ অপরিবাহী কিছু দিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যক্তির শরীর থেকে বিদ্যুতের তারটি সরিয়ে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে লম্বা, একেবারে শুকনো বাঁশ বা লাঠি, একটি শুকনো দড়ি কিংবা লম্বা শুকনো কাপড় ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • যিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যক্তিকে বিদ্যুৎ প্রবাহ থেকে বিচ্ছিন্ন করছেন, খেয়াল রাখতে হবে তাঁর হাত দুটো যেন শুকনো থাকে এবং তাঁকে শুকনো কিছুর ওপর দাঁড়িয়ে কাজটি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে পায়ে স্পঞ্জের স্যান্ডেল থাকতে হবে।
  • বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যক্তিকে বিদ্যুৎ প্রবাহ থেকে বিচ্ছিন্ন করার সঙ্গে সঙ্গেই যদি দরকার হয় কৃত্রিম শ্বসন প্রক্রিয়া চালু করতে হবে এবং বাইরে থেকে বুকে চাপ দিয়ে (হৃদমর্দন) তাঁকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা করতে হবে।
  • প্রয়োজনে রোগীকে উপুড় করে রোগীর এক হাত লম্বা করে এবং অন্য হাতটি ভাঁজ করে মাথার নিচে রেখে রোগীর পিঠে চাপ দেওয়া যেতে পারে।
  • এরপর দ্রুত রোগীকে কাছের হাসপাতালে বা চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। মনে রাখতে হবে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে শরীরে জলীয় উপাদানের, বিশেষ করে ইলেকট্রোলাইটসের প্রচুর ঘাটতি হয়। রোগী যাতে প্রচুর জলীয় উপাদান পায়, সেদিকে নজর দিতে হবে।    

ডিমের কুসুমেও ক্ষতি নেই, জানাল গবেষণা


এতদিন বলা হয়েছে যে, ডিমের কুসুম স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। দিনে ৪টি ডিম খাওয়া যায় অনায়াসেই, কিন্তু কুসুম বাদ দিয়ে। তবে অনেকের মনের কথা একটাই, ডিমের কুসুমই যদি না খাওয়া যায়, তা হলে আর থাকল কী!
সেই সব ডিমপ্রেমীদের জন্যই রয়েছে সুখবর। ইউনিভার্সিটি অফ সিডনি থেকে সম্প্রতি একটি গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে। আর যেখানে বলা হয়েছে যে, ডিমের কুসুম খেলে কোনও ক্ষতি নেই।
সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গবেষক নিক ফুলার জানিয়েছেন যে, ডিমে প্রয়োজনীয় প্রোটিন ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস থাকে যা চোখ, হৃদপিণ্ড, ধমণীকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু, ডিমের কুসুম খেলে অন্য খাবারের প্রতি কিছুটা সংযোগ দেখাতেই হবে বলে জানিয়েছেন গবেষক নিক ফুলার। 
তাদের গবেষণা অনুযায়ী, সম্পূর্ণ ডিম খেলে, খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে স্যাচুরেটেড ফ্যাট (যেমন মাখন)। তার বদলে খাওয়া যেতে পারে মোনো-আনস্যাচুরেটেড ও পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট (অলিভ ওয়েল)।
আসল কথা, ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত জরুরি। কারণ এতে রয়েছে নানা ভিটামিনের সমাহার। শুধু মনে রাখতে হবে, কিভাবে রান্না করা হচ্ছে আপনার প্রিয় খাদ্য বস্তুটি।

Wednesday 9 May 2018

ত্বক ভালো রাখে যে পাঁচ খাবার

সৌন্দর্যের জন্য সুস্থ, সুন্দর ত্বক জরুরি। আর ত্বক সুন্দর রাখতে ভেতর থেকে পুষ্টির প্রয়োজন। কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে।
ত্বক ভালো রাখতে কাজ করে এমন কিছু খাবারের নাম জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট টপ টেন হোম রেমেডি।  

১. গ্রিন টি
গ্রিন টি কে একটি স্বাস্থ্যকর পানীয় বলা হয়। এটি ত্বকের জন্য উপকারী। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এটি ফ্রি রেডিকেল কমিয়ে অকাল বার্ধক্য রোধ করে।
এ ছাড়া গ্রিন ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা কমায়। যেমন ব্রণ, সোরিয়াসিস, বলিরেখা ইত্যাদি।  
২. টমেটো
টমেটো ত্বকের জন্য উপকারী। এর মধ্যে রয়েছে লাইকোপেন। এটি ত্বকের সূর্যের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে কার্যকর। এর মধ্যে থাকা অ্যাসিডিক উপাদান ব্রণ কমাতে সাহায্য করে।
৩. কাঠবাদাম
ত্বককে ভালো রাখতে চাইলে খাদ্যতালিকায় যোগ করুন  কাঠবাদাম। কাঠাদাম ভিটামিন ই এর ভালো উৎস। এটি সূর্যের অতি বেগুনি রস্মি থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখে।
৪. কালো চকোলেট
কালো চকোলেট ত্বকের জন্য উপকারী। কালো চকোলেটের মধ্যে থাকা ফ্লেবোনয়েডস সূর্যের অতি বেগুনি রস্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এটি ত্বকে রক্তের সঞ্চালন বাড়ায়। কালো চকোলেটের মধ্যে থাকা কোকোয়া ত্বকের খসখসে ভাব ও প্রদাহ কমায়।
৫.পালং শাক
পালং শাকের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি, ই, পটাশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। পালং শাকের মধ্যে থাকা উচ্চ পরিমাণ ভিটামিন এ অ্যান্টি অক্সিডেন্টের কাজ করে। এটি অকাল বার্ধক্য রোধে উপকারী।
পালং শাকের মধ্যে রয়েছে বেটা কেরোটিন। এটি ত্বকের শুষ্কতা ও বলিরেখা কমাতে কাজ করে।

মৃগী রোগ কেন হয়?


মৃগী রোগ নিউরোলজিক্যাল ডিজ অর্ডার। এটা শারীরিক অসুখ। এটা মানসিক অসুখ নয়। এই কথাটা একদম পরিষ্কার। এখানে কোনো আর দ্বিমত নেই। এখন নিউরোলজিক্যাল ডিজ অর্ডারে ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ কারণ অজানা। একে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ইডিওপ্যাথিক। জানা যায় না। ১৫ থেকে ২০ ভাগ ক্ষেত্রে জানা গেছে। জানা যায়নি যেটি একেই প্রাইমারি এপিলেপসি বলা হয়। সেকেন্ডারি এপিলেপসি যেটা রয়েছে, সেটি মস্তিষ্কের সংক্রমণের কারণে হতে পারে। টিউমারের কারণে হতে পারে। ড্রাগস ও টক্সিনের কারণে হতে পারে। এরপর ড্রাগ বন্ধ করার কারণে হতে পারে। কোনো কারণে হয়তো তার মস্তিষ্কের ভেতর জন্মগত ত্রুটি থাকে, সেসব কারণে হতে পারে। আর একটি কথা গুরুত্বপূর্ণ,  জ্বর হলে বাচ্চাদের অনেক সময় খিঁচুনি হয়, এদের মধ্যে ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ অনেক সময় মৃগী রোগে আক্রান্ত হতে পারে। আবার অনেকেরই আর হয় না। অনেকেরতো জ্বর থেকে মেনিনজাইটিস হয়ে খিঁচুনির সমস্যা হতে পারে। এটা হলো সেকেন্ডারি এপিলেপসি। সেকেন্ডারি কারণে হয়। জ্বর হলে ইনফেকশন, ম্যানিনজাইটিস হলে যখন ভালো হয়ে যায়, তখন এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে যায়। মস্তিষ্কের ভেতর যে দাগ থেকে গেলে, সেটা পরে মৃগী রোগ করতে পারে।
click here:প্রাকৃতিক স্বাস্থ্যের টিপস

কিডনি রোগের ১০ লক্ষণ


কিডনি দেহের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। কিডনি রোগ খুব নীরবে শরীরের ক্ষতি করে। খুব জটিল অবস্থা না হওয়া পর্যন্ত সাধারণত লক্ষণগুলো ভালোভাবে প্রকাশও পায় না। তাই কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলো আগে থেকেই জেনে রাখা জরুরি। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ ডাইজেস্ট জানিয়েছে কিডনি রোগের লক্ষণগুলোর কথা।
১. প্রস্রাবে পরিবর্তন
কিডনি রোগের একটি বড় লক্ষণ হলো প্রস্রাবে পরিবর্তন হওয়া। কিডনির সমস্যা হলে প্রস্রাব বেশি হয় বা কম হয়। বিশেষত রাতে এই সমস্যা বাড়ে। প্রস্রাবের রং গাঢ় হয়। অনেক সময় প্রস্রাবের বেগ অনুভব হলেও প্রস্রাব হয় না।
২. প্রস্রাবের সময় ব্যথা
প্রস্রাবের সময় ব্যথা হওয়া কিডনির সমস্যার আরেকটি লক্ষণ। মূলত প্রস্রাবের সময় ব্যথা, জ্বালাপোড়া- এগুলো ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের লক্ষণ। যখন এটি কিডনিতে ছড়িয়ে পড়ে তখন জ্বর হয় এবং পিঠের পেছনে ব্যথা করে।
৩.প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া
প্রস্রাবের সাথে রক্ত গেলে এটি খুবই ঝুঁকির বিষয়।এমন হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি লক্ষণ।
৪. দেহে ফোলা ভাব
কিডনি শরীর থেকে বর্জ্য এবং বাড়তি পানি বের করে দেয়। কিডনিতে রোগ হলে এই বাড়তি পানি বের হতে সমস্যা হয়। বাড়তি পানি শরীরে ফোলাভাব তৈরি করে।
৫. মনোযোগ দিতে অসুবিধা হওয়া
লোহিত রক্তকণিকা কমে যাওয়ার কারণে মস্তিস্কে অক্সিজেন পরিবহন কমে যায়। এতে কাজে মনোযোগ দিতে অসুবিধা হয়।
৬. সবসময় শীত বোধ হওয়া
কিডনি রোগ হলে গরম আবহাওয়ার মধ্যেও শীত শীত অনুভব হয়। আর কিডনিতে সংক্রমণ হলে জ্বরও আসতে পারে।
৭. ত্বকে র‍্যাশ হওয়া
কিডনি অকার্যকর হয়ে পড়লে রক্তে বর্জ্য পদার্থ বাড়তে থাকে। এটি ত্বকে চুলকানি এবং র‍্যাশ তৈরি করতে পারে।
৮. বমি বা বমি বমি ভাব
রক্তে বর্জ্যনীয় পদার্থ বেড়ে যাওয়ায় কিডনির রোগে বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়ার সমস্যা হতে পারে।
৯. ছোটো ছোটো শ্বাস
কিডনি রোগে ফুসফুসে তরল পদার্থ জমা হয়। এ ছাড়া কিডনি রোগে শরীরে রক্তশূন্যতাও দেখা দেয়। এসব কারণে শ্বাসের সমস্যা হয়, তাই অনেকে ছোট ছোট করে শ্বাস নেন।
১০. পেছনে ব্যথা
কিছু কিছু কিডনি রোগে শরীরে ব্যথা হয়। পিঠের পাশে নিচের দিকে ব্যথা হয়। এটিও কিডনি রোগের একটি অন্যতম লক্ষণ।

Friday 4 May 2018

দাঁত শিরশির কারণ

কমবেশি অনেকের মধ্যেই দাঁত শিরশির নিয়ে অস্বস্তি রয়েছে। এতে খাবার গ্রহণ বা তরলজাতীয় কোনো কিছু খাওয়া, ব্রাশ করা, এমনকি শ্বাস নেওয়ার সময় অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়ে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ঠান্ডা কোনো খাবার খেলে দাঁত শিরশির করে, যদি দাঁতে সমস্যা থাকে। তবে টক বা মিষ্টিজাতীয় খাবার গ্রহণের সময়ও একই ধরনের অনুভূতি হতে পারে। কারও দাঁতের সাদা অংশ এনামেল ক্ষয় হয়ে ডেনটিন নামের অংশটি যখন বের হয়ে যায়, তখনই দাঁতে ঠান্ডা কিছু লাগলে শিরশির করে।

কারণ
দাঁতের এনামেল ক্ষয়-ভুলভাবে দাঁত ব্রাশ করলে বা শক্ত টুথ ব্রাশ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের এনামেল ক্ষয়ে যায়। তখন এনামেলের পরের স্তর ডেনটিন বেরিয়ে আসে। এর ফলে দাঁতে সেনসিটিভিটি হয়। অনেক সময় একটি দাঁতের সঙ্গে আরেকটি দাঁত শক্তভাবে লেগে দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাড়ির ক্ষয় ছাড়াও এর বিভিন্ন ধরনের অসুখের কারণেও সেনসিটিভিটি হয়। কিছু খাবার যেমন কোল্ড ড্রিংকস, ঠান্ডা খাবার, অ্যালকোহল ইত্যাদি, বিভিন্ন ধরনের ফল, টমেটো, চা ইত্যাদি খেলেও এই সমস্যা হতে পারে। 
বয়সের কারণেও অনেক সময় দাঁতের শিরশির অনুভব হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ২৫ থেকে ৩০ বছরকে সেনসিটিভ বয়স হিসেবে ধরা হয়। 
দাঁতে গর্তের সৃষ্টি, অনেক দিনের পুরোনো ফিলিং, যেকোনো দুর্ঘটনায় দাঁত ভেঙে গেলে, দীর্ঘ সময় ধরে মাউথ ওয়াশ ব্যবহার, অনেক সময় শক্ত খাবার খাওয়ার সময় এ রকম হতে পারে। 
দাঁতের বিভিন্ন কাজের সময় এ রকম হতে পারে। যেমন রুট ক্যানেল, ক্রাউন প্লেসমেন্ট এবং দাঁতের রেসটোরেশন ইত্যাদি। 
মাড়ি ক্ষয় হয়ে দাঁতের রুট বা গোড়া বের হয়ে গেলে, দাঁত আঘাতপ্রাপ্ত হলে প্রাথমিক অবস্থায় বা সঠিক সময়ে সঠিক কারণ নির্ধারণ করে একজন চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা গ্রহণ করলে অনেক ভালো ফল পাওয়া যায়।
দাঁতের শিরশির বন্ধে সঠিক যত্ন
* নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের ফাঁকে কোনো জীবাণু তৈরি হতে পারবে না। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এবং সকালে নাশতা করার পরে দাঁত ব্রাশ করুন নিয়মিত। 
* দাঁত ব্রাশ করার জন্য সেনসিটিভিটি রোধ করে এমন টুথপেস্ট ব্যবহার করুন। এমনটাই মত প্রায় ৯ শতাংশ ডেন্টিস্টের। তাঁরা মনে করেন, এমন টুথপেস্ট আপনার দাঁত শিরশিরের যন্ত্রণা থেকে রেহাই দেবে অনেকটা। 
* ব্রাশ করুন আস্তে আস্তে। দাঁতের ওপর চাপ দেবেন না। জোরে ব্রাশ করাটা দাঁতের শিরশির ভাব আরও বাড়িয়ে দেবে। হালকা কোমল ব্রাশ ব্যবহার করুন। এতে সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে অনেকটা। 
* যেকোনো অ্যাসিডিক খাবার খাওয়ার সময়ও একটু সচেতন হোন। যেমন ফলের জুস, কোমল পানীয়-এসব দাঁতের এনামেল নষ্ট করে ফেলে। তাই এসব পান করার পরই দাঁত পরিষ্কার করে ফেলুন। 
* আপনার যদি নিয়মিত দাঁতে দাঁত ঘষা বা দাঁত চেপে রাখার অভ্যাস থাকে, তাহলে সেটা ত্যাগ করাই ভালো। 
* অনেকেই দাঁতের শিরশির করা অংশটি ব্রাশ করে না। কিন্তু এতে সমস্যা বেড়ে প্রকট আকার ধারণ করতে পারে।

সুস্থ যৌন জীবনের জন্য জেনে রাখুন জরুরী ১০টি বিষয়

আমাদের সমাজে আমরা যৌনতা নিয়ে কথা বলি না, উপযুক্ত যৌন শিক্ষা গ্রহণ করার ব্যাপারেও আমরা আগ্রহী নই। ফলে জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যে অধ্যায়, সেটি নিয়ে বেশিরভাগ জিনিসই রয়ে যায় আমাদের ধারণার বাইরে। অনেকেই এই তীব্র কৌতূহল মেটাবার জন্য আশ্রয় নিয়ে থাকেন পর্ণগ্রাফি বা চটি লেখার। ফলে তাঁদের ভ্রান্ত ধারণা বেড়ে যায় আরও অনেক বেশি। যৌনতা সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা একজন মানুষের স্বাভাবিক যৌন জীবনকে বিপর্যস্ত করে তোলে। বিষয়টি মোটেও অবহেলা করার মতন কিছু নয়, কেননা যৌন জীবন বিপর্যস্ত হলে দাম্পত্য সম্পর্কেও তৈরি হতে শুরু করে নানান সমস্যা। তাই সুন্দর দাম্পত্যের সুস্থ যৌন জীবনটাও অত্যাবশ্যক। জেনে নিন এমন ১০টি বিষয়, যেগুলো সুস্থ, সুন্দর ও সফল যৌন জীবনের জন্য মনে রাখা জরুরী।


১) যৌনতা কেবল শরীরি প্রেম নয়। সুন্দর ও আনন্দময় যৌন সম্পর্কের জন্য মানসিক ভালোবাসার বন্ধন অটুট হওয়া বাঞ্ছনীয়। এবং কেবল সেভাবেই সফল হতে পাত্রে আপনার যৌন জীবন।
২) মনে রাখবেন, সৌন্দর্য দেহে নয়, সৌন্দর্য মানুষের দৃষ্টিতে। একেকটা মানুষের শরীর একেক রকম। প্রত্যেকেই তার নিজের মত করে সুন্দর। প্রিয়জনের মাঝে তার সেই বিশেষ সৌন্দর্যকে দেখার চেষ্টা করুন। আপনার নিজের শরীরের যেমন নানা ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে, তার শরীরেও আছে। এই ব্যাপারটিকে সহজভাবে গ্রহণ করুন।
৩) যৌনতা সম্পর্কে পর্যাপ্ত ও সঠিক ধারণা থাকা একান্ত জরুরী। এক্ষেত্রে নানান রকম বৈজ্ঞানিক বইপত্র ও প্রবন্ধের সাহায্য নিতে পারেন। নিজে শিক্ষিত হোন, সঙ্গীকেও করে তুলুন।
৪) বন্ধুদের সাথে যৌন জীবনে নিয়ে আলাপ আলোচনা হতেই পারে। কিন্তু কখনো তাঁদের সাথে নিজের যৌন জীবনকে তুলনা করবেন না। কিংবা তাঁদের সঙ্গীর সাথে নিজের সঙ্গীকেও নয়।
৫) সফল যৌন জীবনের সাথে শারীরিকভাবে সুস্থ ও ফিট থাকার একটা সম্পর্ক আছে। চেষ্টা করুন নিজেকে নীরোগ ও ঝরঝরে রাখতে।
৬) একটা কথা মনে প্রাণে গেঁথে নিন যে পর্ণগ্রাফি বা ব্লু ফিল্মে যা দেখানো হয় তার পুরোটাই অভিনয়। এসবে বাস্তবতার পরিমাণ খুবই অল্প। এত অল্প যে এগুলো নিজের বাস্তব জীবনে চেষ্টা করা অনেক ক্ষেত্রেই অসুস্থতার পর্যায়ে পড়ে এবং সঙ্গীও বিমুখ হয়ে পড়তে পারেন আপনার প্রতি। তাই পর্ণগ্রাফির ছায়া থেকে মুক্ত রাখুন নিজের যৌন জীবনকে।
৭) প্রতিটি মানুষের যৌন চাহিদা বা যৌন ইচ্ছা কোনক্রমেই এক রকম হবে না। নারী ও পুরুষের কাছেও যৌনতার অর্থ ভিন্ন রকম, চাহিদাও আলাদা আলাদা। তাই নিজের সঙ্গীকে বুঝতে চেষ্টা করুন। তার চাহিদা বুঝুন, তাঁকে নিজের চাহিদা বোঝান। দুজনে সমঝোতার মাধ্যমে গড়ে তুলুন সুন্দর যৌন জীবন।
৮) যৌনতাই দাম্পত্য বা ভালোবাসার একমাত্র মাপকাঠি নয়। এটা যেমন সত্য, সাথে এটাও সত্য যে যৌনতা একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ বটে। সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর যৌন জীবন পেতে অবশ্যই এক সময়ে একজন সঙ্গীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকুন। একাধিক সঙ্গী আপনাকে মূলত কারো সাথেই সুখী হতে দেবে না। শারীরিক সুখ হয়তো আসবে, মানসিক প্রশান্তি নয়।
৯) মিষ্টি স্পর্শ, ছোট্ট আদর, প্রশংসা মূলক কথা, পরস্পরের নিঃশ্বাসের একান্তে থাকা ইত্যাদি যৌনতার মতই গুরুত্বপূর্ণ। আর এগুলোর বহিঃপ্রকাশের ওপরেই নির্ভর করে সফল যৌন জীবন।
১০) কেবল নিজের তৃপ্তি নয়, সঙ্গী মানসিক ও শারীরিকভাবে তৃপ্ত হচ্ছেন কিনা সেটাও অতি অবশ্যই লক্ষ্য রাখুন।
সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।

Monday 30 April 2018

কাঁচা মরিচের অসাধারণ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা


কাঁচা মরিচ সাধারনত আমরা আমাদের খাদ্যের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এই কাঁচা মরিচের ভেতর রয়েছে বিশেষ এক উপাদান ক্যাপসাইকিন যা মরিচের ঝাল বাড়ায়। এই ক্যাপসাইকিনে আছে ভিটামিন এ, সি, বি-৬, আয়রন, পটাশিয়াম এবং খুবই সামান্য পরিমাণে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট। এই উপাদান গুলো মুখে লালা আনে ফলে খেতে মজা লাগে। এছাড়াও এগুলো ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে আজ দেখে নিন কাঁচা মরিচের বিস্ময়কর কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা:
১। গরম কালে কাঁচা মরিচ খেলে ঘামের মাধ্যমে শরীর ঠান্ডা থাকে।
২। প্রতিদিন একটি করে কাঁচা মরিচ খেলে রক্ত জমাট বাধার ঝুঁকি কমে যায়।
৩। নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে হৃদপিণ্ডের বিভিন্ন সমস্যা কমে যায়।
৪। কাঁচা মরিচ মেটাবলিসম বাড়িয়ে ক্যালোরি পোড়াতে সহায়তা করে।
৫। কাঁচা মরিচে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিটা ক্যারোটিন আছে যা কার্ডোভাস্ক্যুলার সিস্টেম কে কর্মক্ষম রাখে।
৬। নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
৭। কাঁচা মরিচ রক্তের কোলেস্টেরল কমায়।
৮। কাঁচা মরিচে আছে ভিটামিন এ যা হাড়, দাঁত ও মিউকাস মেমব্রেনকে ভালো রাখতে সহায়তা করে।
৯। কাঁচা মরিচে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে যা মাড়ি ও চুলের সুরক্ষা করে।
১০। নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে নার্ভের বিভিন্ন সমস্যা কমে। 
তবে কাঁচা মরিচ কাচা খাওয়া ভালো। কারণ ৩৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রার বেশি তাপমাত্রায় কাঁচামরিচ সেদ্ধ করলে কিংবা ভেজে খাওয়ার ফলে এর বিদ্যমান ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়। তাই এর আসল উপকারিতা পেতে প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে কাঁচা মরিচ কাঁচা খেতে অভ্যাস করুণ। 

হেঁচকি উঠলে যা করবেন

ছোটবেলায় হেঁচকি উঠলে বড়রা বলতেন কেউ মনে মনে তোমার কথা ভাবছে। হেঁচকি উঠলেই এক গ্লাস পানি খেয়ে নিতে বলা হয়। কখনো হঠাৎ চমকে দেবার চেষ্...